Skip to main content
 

জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কিশোরগঞ্জ।

 

কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের একটি 'এ' শ্রেণীভুক্ত জেলা। কিশোরগঞ্জ জেলার ব্র্যান্ড নাম হলো “উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা”। কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। শহরটি নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ একইসাথে কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। কিশোরগঞ্জের মোট জনসংখ্যা ১০৩,৭৯৮, যার ফলে এটি বাংলাদেশের ৪৩ তম জনবহুল শহরে পরিনত হয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে কিশোরগঞ্জ ১৮৪৫ সালের পরে কোন এক সময়। এ অঞ্চলের বিখ্যাত ব্যবসায়ী ছিলেন কৃষ্ণাদাস বসক, যিনি মসলিন কাপড়ের ব্যবসা করতেন। কৃষ্ণাদাস বসক নবাব সিরাজ উদ দৌলার সময়ে ৩২টি পরগণার জমিদারী কিনেন। তিনি শহরের দক্ষিণে একটি সুন্দর তিন তলা প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন।হাওর বাওর বিস্তৃত নয়নাভিরাম এই কিশোরগঞ্জ জেলা একসময় ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত।

কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালতের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

১৯৮৪ সালে দেশের সকল মহকুমাকে জেলায় পরিণত করা ‍হলে কিশোরগঞ্জে ঐ সময়েই জেলা জজ আদালতে কার্য্ক্রম আরম্ভ হয়। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ছাড়াও ১০টি সহকারী জজ আদালত, ০৩টি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ০২ টি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ০৪টি অতি: জেলা ও দায়রা জজ আদালত রয়েছে।এছাড়াও কিশোরগঞ্জে ০২টি নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুন্যাল আদালত রয়েছে

২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরনের পর কিশোরগঞ্জে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রয়েছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ০১টি অতি: চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ০৬টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত, ০৬টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ।কিশোরগঞ্জ জেলার নবনির্মিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নান্দনিক ভবনটি গত৩০/০১/২০২২খ্রি: তারিখে উদ্ভোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুল হামিদ। আধুনিক এই ভবনটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, শিশুদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার, জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সহ সম্বৃদ্ধ পাঠাগার।এছাড়াও রয়েছে প্রত্যেক বিচারকের জন্য রয়েছে আলাদা খাসকামরা এবং বিচারিক কাজের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন এজলাস।  

বাংলাদেশে মোট ১৮টি দেওয়ানী চৌকি আদালত রয়েছে। যেগুলো ১৮৮০ সাল থেকে ১৮৮৫ সালের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ১৮টি চৌকি আদালতের মধ্যে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর দেওয়ানী চৌকি আদালত অন্যতম।ব্রিটিশ আমলে বাজিতপুরের অদুরে দিলালপুর নৌঘাটে স্টিমারে করে বিচারক গন এখানে আসতেন। পরবর্তীতে ১৯৩৪ সালে বাজিতপুর চৌকি আদালতের বর্তমান দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মিত হয়। এখনো বাজিতপুর দেওয়ানী চেীকি আদালতে বাজিতপুর, ভৈরব, কুলিয়ারচর, নিকলী ও অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওয়ানী বিচার কারযক্রম পরিচালিত হচ্ছে।